কীভাবে একটি সিভি তৈরি করবো

ভাই আমার সিভি টা একটু বানিয়ে দিয়েন অথবা, দোস্ত আমার সিভিটা একটু বানিয়ে দিস।
সিভি বানানোর জন্য এই ধরনের সাহায্য আমরা মোটামুটি সবাই চাই এবং যখনই কোন সুযোগ পাই তখনই কাউকে আমরা রিকোয়েস্ট করি আমাদের সিভি বানিয়ে দেওয়ার জন্য। অন্যের কাছে এই সাপোর্ট চাওয়ার কিছু লজিক্যাল কারণ আছে। তার মধ্যে কিছু লজিক্যাল কারণ হচ্ছে, অনেকেই আমরা সিভি বানাতে পারি কিন্তু আমাদের সময়ের কারণে আমরা সেটা বানাতে পারি না আবার, অনেকে পারেন কিন্তু নিজের কনফিডেন্সের অভাবের কারণে আরেকজনের সাহায্য চান যে আমি যে বানাবো আমারটা আসলে ঠিকঠাক হবে কিনা। শুনুন আপনি যদি কিছু রুলস ফলো করেন তাহলে আপনি নিজেই আপনার সিভি নিখুঁত ভাবে বানাতে পারবেন।
আপনি মনোযোগ দিয়ে এই পুরো লেখাটি পড়েন তাহলে আপনি নিজেই নিজের সিভি বানাতে পারবেন তারপরও যদি আপনাদের কোন সাপোর্ট লাগে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে নক দেন আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাদেরকে সাহায্য করার জন্য

কিভাবে আপনি একটি নিখুঁত সিভি লিখবেন সেটি আমি এখন একের পর এক আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

১. সিভির একদম উপরে সেন্টারে প্রথমে আপনাদের নাম লিখবেন তারপর মোবাইল নাম্বার, ইমেল আইডি এবং আপনাদের বর্তমান ঠিকানা লিখবেন। এই ইনফরমেশন গুলি ক্লিয়ারলি মেনশন করবেন কারণ চাকরি দাতা এই মোবাইল নাম্বারে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এই ইমেইল আইডিতে আপনাকে ইমেইল পাঠাবে। যদি কোন ফিজিক্যালি চিঠি পাঠাতে হয় তাহলে আপনার অ্যাড্রেসে পাঠাবে।
বিঃ দ্রঃ মনে রাখবেন কখনোই দুইটা মোবাইল নাম্বার দিবেন না।

২. তারপর দিবেন ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ/ক্যারিয়ার প্রোফাইল/ক্যারিয়ার সামারিঃ এই জায়গাটাতে মানুষ সবচেয়ে বেশি দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভোগে কারণ সে বুঝতে পারে না যে সে কি অবজেক্টিভ লিখবে নাকি কেরিয়ার প্রোফাইল লিখবে নাকি ক্যারিয়ার সামারি লিখবে। যারা সম্প্রতি লেখাপড়া শেষ করে বের হয়েছেন চাকরিতে ঢুকবেন তারা লিখবেন ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ, আর যারা চাকরিতে আছেন অল্প কিছুদিন বা কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা তারা লিখবেন কেরিয়ার প্রোফাইল, আর যাদের এক্সপেরিয়েন্স অনেক বেশি ১০ থেকে ২০ বছর বা তারও বেশি তারা লিখবেন কেরিয়ার সামারি। আরেকটা জিনিস আপনাদের ক্লিয়ার করে রাখি ধরেন আপনি কোন চাকরিতে কোন সেক্টরে কয়েক বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু আপনি জব সেক্টর চেঞ্জ করে অন্য সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহী, অন্য সেক্টরে আপনি এপ্লাই করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনি কেরিয়ার প্রোফাইল বা কেরিয়ার সামারি দিবেন না, তখন আপনাকে লিখতে হবে কেরিয়ার অবজেক্টিভ।

৩. তারপরে দুইটা অংশ, চাকরির অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা। যাদের চাকরির অভিজ্ঞতা নাই তাদের চাকরির অভিজ্ঞতার সেকশনটা থাকবে না, তারা শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতা দিবেন। আপনার সর্বশেষ শিক্ষা যেটা সেটা আগে দিবেন তারপরে রিভার্স ক্রোনোলোজিক্যালি পরের গুলি দিবেন।
যাদের চাকরির অভিজ্ঞতা আছে তারা চাকরির অভিজ্ঞতাগুলি রিভার্স ক্রোনোলজিকেলি দিবেন।বর্তমানে যেই চাকরি করছেন সেটা আগে দিবেন, এটার আগে যে চাকরিটা ছিল সেটা পরে দিবেন, তারও আগে যদি চাকরি থাকে সেটা দিবেন। চাকরির অভিজ্ঞতা যদি একটা থাকে তাহলে একটাই দিবেন, যদি একাধিক থাকে তাহলে সবগুলি অভিজ্ঞতাই সিভিতে উল্লেখ করবেন। চাকরিতে আপনি যে পজিশনে আছেন বা ছিলেন, সেখানে আপসার যেই রেস্পন্সিবিলিটি ছিল সেই জিনিসগুলি পয়েন্টের মাধ্যমে প্রতিটা চাকরির অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রেই লিখবেন।

৪. সিভিতে আরো যেসব বিষয় উল্লেখ করতে হয় তার মধ্যে আছে স্পেশাল দক্ষতা যেগুলি পয়েন্টের মাধ্যমে লিখবেন, ভাষাগত দক্ষতা এবং কম্পিউটার দক্ষতা। সিভিতে রেফারেন্স উল্লেখ করার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি চাইলে সিভিতে রেফারেন্স দিতে পারবেন না চাইলে সমস্যা নাই, বাট যদি কোন কোম্পানি স্পেসিফিক্যালি বলে দেয় রেফারেন্স দেয়ার জন্য, সেক্ষেত্রে দেওয়া বাধ্যতামূলক।
মনে রাখবেন, পুরো সিভিটা একটা ফন্টের উপর লিখবেন। ফন্টের সাইজ দুইটা দিবেন, বড় সাইজ দিবেন নামের জন্য, আর এক সাইজ ডাউন দিবেন বাকি ডিটেলস এর জন্য।

সিভি সম্পর্কিত যে কোন সাহায্যের জন্য অথবা আপনার পুরনো সিভিটি রিভিউ করার জন্য সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
Whatsapp 01816630600
Email ID: [email protected]

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *