একটি নিখুঁত সিভি লিখার কার্যকরী কৌশল

আপনি যদি চাকরিতে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার চান তবে আপনাকে একটি সুন্দর ও মানানসই সিভি তৈরি করতে হবে। কারন এই সিভিতে আপনি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং চাকুরির অভিজ্ঞতা তুলে ধরার মাধ্যমে নিজেকে প্রমান করার সুযোগ পাবেন। তাই, আপনাকে জানতে হবে, কিভাবে একটি সিভি তৈরি করলে নিয়োগ কমিটির ইতিবাচক দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারবেন। একটি নিখুঁত সিভি লিখতে নিচের কৌশলগুলি অনুসরন করতে পারেন।

1. শিরোনামঃ সিভির শীর্ষে থাকে শিরোনাম যেখানে প্রার্থীর নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল উল্লেখ করতে হয়। এখান থেকে নিয়োগ প্রতিষ্ঠান প্রার্থীর সাথে যোগাযোগের মাধ্যম খুঁজে পায়।

2. প্রোফাইল/সামারী/অবজেক্টিভঃ এই সেকশনে খুব সংক্ষেপে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং চাকুরির অভিজ্ঞতা সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে যাবে চাকুরিদাতা সহজেই আপনার সম্পর্কে ভালো ধারনা পেতে পারে।

3. কাজের / চাকুরির অভিজ্ঞতাঃ এখানে প্রার্থীর কাজের বা চাকুরির বিশদ বিবরন থাকবে। যেমন, কোথায় চাকুরি করেছেন বা করছেন, কত দিন ধরে করছেন, কোন প্রতিষ্ঠানে করছেন, প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা এবং আপনার দায়িত্বগুলি বুলেট পয়েন্টে তুলে ধরুন। সাম্প্রতিক চাকুরি সবার উপরে দিবেন তারপর ক্রমানুযায়ী আগের গুলি।

4. শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ এখানে ক্রমানুযায়ী প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করতে হবে। সাম্প্রতিক ডিগ্রী সবার প্রথমে থাকবে তারপর ক্রমানুযায়ী অন্য গুলি। মনে রাখবেন, প্রতিটি যোগ্যতার সাথে পাশের সন, প্রতিষ্ঠানের নাম, ফলাফল উল্লেখ করতে হবে।

5. দক্ষতাঃ কাজের উপর ভিত্তি করে প্রার্থীর বিভিন্ন দক্ষতা বুলেট পয়েন্টে উল্লেখ করতে হবে। তবে এমন কোন দক্ষতা উল্লেখ করবেন না যেটা আপনার প্রোফাইলের সাথে বেমানান।

6. অতিরিক্ত কারিকুলার একটিভিটিজঃ এখানে প্রার্থীর পড়ালেখা বা চাকুরিতে অথবা এর বাহিরে যদি কোন অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সেগুলি উল্লেখ করুন, যেমনঃ প্রকাশনা, স্বেচ্ছাসেবক, উপস্থাপনা, ফেলোশিপ বা বৃত্তি, পুরস্কার এবং সম্মাননা, ইত্যাদি।

এছাড়া আরো কিছু দক্ষতা উল্লেখ করতে হয়, যেমনঃ ভাষাগত দক্ষতা, কম্পিউটার দক্ষতা, ইত্যাদি। ক্ষেত্র বিশেষে অনেকে রেফারেন্স এবং শখ উল্লেক করে থাকেন। তবে নিজের পারিবারিক তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকবেন, কারন চাকুরি দাতা প্রার্থীর এসব কিছু দেখতে চায় না।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *