বাংলাদেশি সিভি লেখার ফরম্যাট
বাংলাদেশি সিভি লেখার জন্য সাধারণত তিন ধরনের ফরম্যাট ব্যবহার করা হয়:
১. রিভার্স কানলজিক্যাল ফরম্যাট:
- সবচেয়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত ফরম্যাট।
- সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে পুরনো অভিজ্ঞতার দিকে এগিয়ে যায়।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা, পুরষ্কার ও সম্মাননা, দক্ষতা, এবং রেফারেন্স অন্তর্ভুক্ত থাকে।
২. স্কিল বেসড ফরম্যাট:
- নির্দিষ্ট দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর জোর দেয়।
- যারা নির্দিষ্ট ধরণের চাকরির জন্য আবেদন করছেন তাদের জন্য উপযুক্ত।
- দক্ষতাগুলিকে গুরুত্বের ভিত্তিতে সাজানো হয়।
৩. কম্বাইন্ড বা হাইব্রিড ফরম্যাট:
- রিভার্স কানলজিক্যাল এবং স্কিল বেসড ফরম্যাটের মিশ্রণ।
- অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা উভয়ের উপর জোর দেয়।
- বেশি বহুমুখী এবং বিভিন্ন ধরণের চাকরির জন্য উপযুক্ত।
সিভি লেখার সময় মনে রাখার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত: আপনার সিভি 2 পৃষ্ঠার বেশি হওয়া উচিত নয়।
- পেশাদার: একটি সহজ, পঠনযোগ্য ফন্ট এবং ফরম্যাটিং ব্যবহার করুন।
- ভুলমুক্ত: আপনার সিভি জমা দেওয়ার আগে তা সাবধানে প্রুফরিড করুন।
- কীওয়ার্ড সমৃদ্ধ: আপনার শিল্পের সাথে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন।
- সত্যবাদী: শুধুমাত্র সেই তথ্য অন্তর্ভুক্ত করুন যা সত্য এবং যাচাইযোগ্য।
- কাস্টমাইজযোগ্য: আপনার আবেদন করা প্রতিটি চাকরির জন্য আপনার সিভি কাস্টমাইজ করুন।
অন্যান্য টিপস:
- একটি শক্তিশালী সারাংশ বা উদ্দেশ্য বিবৃতি দিয়ে শুরু করুন।
- আপনার সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাগুলিকে হাইলাইট করুন।
- পরিমাপযোগ্য ফলাফল ব্যবহার করে আপনার সাফল্য প্রদর্শন করুন।
- আপনার যোগাযোগের তথ্য সঠিক এবং আপ-টু-ডেট রাখুন।
- একটি রেফারেন্স তালিকা অন্তর্ভুক্ত করুন, তবে কেবলমাত্র অনুরোধ করা হলে তা জমা দিন।